Sports
Tuesday, August 22, 2017
Sunday, August 20, 2017

ইছামতি পানিতে টলমল শহরবাসীর স্বপ্ন
দু’কুলের প্রকৃতি ছুয়ে বয়ে যাচ্ছে ¯্রােতধারা। দুই পাশে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য কবি গুরু রবীন্দ্রনাথের বর্ণনায় উঠে আসা এ যেন সেই চিরচেনা ইছামতি। আহ্ ! সারা বছর যদি এমনটা থাকতো। নদীর পাশে দাঁড়িয়ে স্মৃতি চারণ করে কথাগুলো বলছিলেন শহরের বাসিন্দা জাকির হোসেন। বর্তমান শহরের পেটের ভিতর দিয়ে বয়ে চলা ইছামতি নদী পানিতে টলমল। নেই আবর্জনার স্তুপ। দক্ষিণ থেকে উত্তরদিকে মৃদু ¯্রােতের এ যেন এক অন্য ইছামতি নদী । দেখে মনে হয় শহর জুড়ে থাকা শান্ত একটি নদীর বয়ে চলা। গত কয়েকদিন ধরে বন্যার কারণে নদীতে পানি আসতে শুরু করে। এরপর থেকে নদীতে পানি বারতে থাকে।
কোন কোন জায়গায় রাস্তা প্রায় ছুই ছুই পানি। শুক্রবার শহরের গোবিন্দা এলাকার দেওয়ানবাড়ী জামে মসজিদ থেকে জুম্মার নামাজ শেষে মুসল্লিরা বের হয়ে নদীর দিকে তাকিয়ে থাকে। এ যেন তাদের সেই হারিয়ে যাওয়া ইছামতি। তারা স্মৃতিচারণ করে পুরোনো কথা তুলে ধরে বলেন, আজ থেকে ৪৫-৪৬ বছর আগেও এ নদীতে ঢেউ উঠতো। এক সময় নদীতে সাড়ি সাড়ি পানসি নৌকা চলতো। এক স্থান থেকে অন্য স্থানে মালামাল বহন করে নেয়া হতো।
নৌকা বাইচ খেলা হতো। এ এলাকার অনেক নব বধূই এই ইছামতি নদী বয়ে প্রথম শশুরবাড়ীতে পদার্পন করেছেন। কেউ কেউ নদী নিয়ে তাদের বর্তমান শতশত পরিকল্পনার কথা আনন্দের সাথে তুলে ধরেন। কেউ বলছেন নদীতে নৌকা কিনে এনে চালাবেন, কেউ বলছেন মাছ ধরবেন, গোসল করবেন। তারা স্মৃতিচারণ করে বলেন এই নদী আমাদের প্রাণের স্পন্দনের সাথে মিশে আছে। নদীতে যেন এভাইে সারা বছর পানি টলমল করে। নদীর পানি দেখছেন উৎসুক শহরবাসী।
প্রায় শহর জুড়ে চলছে আলোচনা। সবার প্রাণের চাওয়া দীর্ঘস্থায়ীভাবে যেন নদীতে আবার ফিরে আসে প্রাণ। পানিতে ভরা টলমলে নদীটি দেখে সবচেয়ে বেশী খুশি হয়েছে শিশুরা। তাদের কৌতুহল ভাবনা এ যেন এক নতুন ইছামতি। তাদের আনন্দের শেষ নেই। এই আনন্দ যেন ক্ষণিকের না হয় সেই স্বপ্ন দেখছেন আজ শহরবাসী।
Saturday, August 19, 2017

মানবিক অনুষদ-সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ। অনার্স ১ম বর্ষে ভর্তির বিস্তারিত তথ্য।
সরকারি এডওয়ার্ড কলেজে 2017-18 শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ১ম বর্ষে কলা ও মানবিক অনুষদের বিষয় সমূহে ভর্তির জন্য নিম্নবর্তী শর্তসমূহ।
১। এসএসএসি ও এইচএসসি যে কোন শাখা থেকে উত্তীর্ণ হলেই হবে।
২। পাশের বছরঃ এসএসসি, সমমান ২০১৪-১৫ এবং এইচএসসি, সমমান ২০১৬-১৭ হতে হবে।
৩। উভয় পরীক্ষায় সর্বনিম্ন জিপিএ ২.০০ প্রাপ্ত হয়ে মোট জিপিএ ৪.০০ হতে হবে
৪। এসএসসি ও এইচএসসির জিপিএ অনুসারে মেধা স্কোর প্রণয়ননের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হবে।
৫। মানবিক অনুষদে বিষয় ভিত্তিক আলাদা যোগ্যতা প্রযোজ্য।
মোট আসনের শতকরা হার অনুযায়ী ভর্তি করা হবেঃ
১। বাংলা ও ইংরেজি বিভাগ-
মানবিক শাখা হতে ৯০%
বিজ্ঞান শাখা হতে ৫%
ব্যবসায় শিক্ষা শাখা হতে ৫%
২। ইতিহাস,দর্শণ এবং ইসলামি ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ-
মানবিক হতে ১০০%
মানবিক অনুষদের বিষয় সমূহ এবং আসন সংখ্যা নিচে দেওয়া হলোঃ
সর্বমোট আসন সংখ্যাঃ ১১৯০
১। বাংলা বিভাগ- ২৩৫
২। ইংরেজি বিভাগ- ২৩৫
৩। ইতিহাস বিভাগ- ২৬০
৪। দর্শণ বিভাগ-২২০
৫। ইসলামি ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ- ২৪০
ভর্তি প্রক্রিয়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে।
প্রাথমিক ভাবে অনলাইনে আবেদন শুরুঃ ২৪/০৮/২০১৭ তারিখ হতে
আবেদন শেষ হবেঃ ২০/০৯/২০১৭ তারিখ।
আবেদন করতে ক্লিক করুনঃ Apply Online
১। এসএসএসি ও এইচএসসি যে কোন শাখা থেকে উত্তীর্ণ হলেই হবে।
২। পাশের বছরঃ এসএসসি, সমমান ২০১৪-১৫ এবং এইচএসসি, সমমান ২০১৬-১৭ হতে হবে।
৩। উভয় পরীক্ষায় সর্বনিম্ন জিপিএ ২.০০ প্রাপ্ত হয়ে মোট জিপিএ ৪.০০ হতে হবে
৪। এসএসসি ও এইচএসসির জিপিএ অনুসারে মেধা স্কোর প্রণয়ননের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হবে।
৫। মানবিক অনুষদে বিষয় ভিত্তিক আলাদা যোগ্যতা প্রযোজ্য।
মোট আসনের শতকরা হার অনুযায়ী ভর্তি করা হবেঃ
১। বাংলা ও ইংরেজি বিভাগ-
মানবিক শাখা হতে ৯০%
বিজ্ঞান শাখা হতে ৫%
ব্যবসায় শিক্ষা শাখা হতে ৫%
২। ইতিহাস,দর্শণ এবং ইসলামি ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ-
মানবিক হতে ১০০%
মানবিক অনুষদের বিষয় সমূহ এবং আসন সংখ্যা নিচে দেওয়া হলোঃ
সর্বমোট আসন সংখ্যাঃ ১১৯০
১। বাংলা বিভাগ- ২৩৫
২। ইংরেজি বিভাগ- ২৩৫
৩। ইতিহাস বিভাগ- ২৬০
৪। দর্শণ বিভাগ-২২০
৫। ইসলামি ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ- ২৪০
ভর্তি প্রক্রিয়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে।
প্রাথমিক ভাবে অনলাইনে আবেদন শুরুঃ ২৪/০৮/২০১৭ তারিখ হতে
আবেদন শেষ হবেঃ ২০/০৯/২০১৭ তারিখ।
আবেদন করতে ক্লিক করুনঃ Apply Online
Saturday, August 12, 2017

চোখের জলই ভরসা পাবনার বৃদ্ধ ‘নাইট রিকশাওয়ালাদের’
জীবনের যে সময়ে এসে পরিবার-পরিজন নিয়ে সুখে দিন অতিবাহিত করার কথা, নাতি-নাতনিসহ রাতের খাবার শেষে গল্পের ঝুড়ি নিয়ে বসার কথা- সেই সুন্দর মুহূর্তগুলো হারিয়ে গেছে পাবনার অনেক বৃদ্ধ রিকশাচালকের জীবন থেকে। এই বয়োবৃদ্ধদের অনেকেই কেবল রাতে রিকশা চালান।
রাতের বেলায় যাঁরা রিকশা চালান, সেই চালকরা পাবনা শহরে নাইট রিকশাওয়ালা নামে পরিচিত। যে রিকশা চালিয়ে এই বৃদ্ধ বয়সেও তাঁরা নিজেদের ভাগ্যের চাকা ঘোরাচ্ছেন সেটাও আবার নিজের নয়, চড়া সুদে কিস্তিতে কেনা।
প্রতিদিন ১৫০ টাকা হারে সপ্তাহে এক হাজার ৫০ টাকা জমা দিতে হয় রিকশার মহাজনকে। সেই সঙ্গে প্রতিদিন ব্যাটাজি চার্জ দিতে খরচ হয় আরো ৫০ টাকা।
ফলে যে টাকা রিকশা চালিয়ে আয় হয় তার সিংহভাগই চলে যায় কিস্তি পরিশোধ করতে। এ সীমিত টাকায় ওই নাইট রিকশাওয়ালাদের জীবনধারণ দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে।
এমনই একজন রিকশাওয়ালা পাবনা সদর উপজেলার আরিফপুর হাজিরহাট এলাকার শতবর্ষী রফিকুল ইসলাম। যিনি দীর্ঘ ৭০ বছর ধরে রিকশা চালাচ্ছেন। পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ছয় কাঠা জমি ছিল, যার তিন কাঠা মাদ্রাসা আর বাকি তিন কাঠা রাস্তার জায়গার জন্য ছেড়ে দিয়েছেন। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, দরিদ্র হলেও উদার মনের অধিকারী এই রিকশাচালক এই দানের বিনিময়ে কোনো অর্থ নেননি।
রফিকুল ইসলাম দুই ছেলে ও ছয় মেয়ের বাবা। বৃদ্ধ এই রিকশাচালক জানালেন, অর্থের অভাবে ছেলেদের পড়াশোনা করাতে পারেননি। ছেলেদের কেউই ভালো চাকরি পাননি। ছেলেরা যা আয় করে, তাতে তাঁদের নিজের স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সংসার চলে না।
ফলে একরকম বাধ্য হয়েই পাবনার রাধানগর এলাকার লেপু সিপাহী রোডে ছোট মেয়ের বাড়িতে থাকেন রফিকুল ইসলাম। সরকারি বয়স্কভাতা পান প্রতি তিন মাসে ৫০০ টাকা করে মোট এক হাজার ৫০০ টাকা। প্রতি মাসে রাতভর রিকশা চালিয়ে খরচ বাদে তাঁর গড়ে আয় হয় তিন হাজার ৭০০ টাকা থেকে চার হাজার টাকা পর্যন্ত।
এ টাকায় মাস কাটানো দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন রফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, বৃদ্ধ বয়সে রোগব্যাধি তো নিত্যসঙ্গী। এ সীমিত টাকায় ওষুধ কিনে জীবন চালানো কঠিন।
রফিকুল ইসলামের মতোই আরেক নাইট রিকশাওয়ালা সদর উপজেলার দোগাছী ইউনিয়নের আশুতোষপুর গ্রামের বাসিন্দা সিদ্দিকুর রহমান (৬৫)। তিনি রিকশা চালান ৪০ বছর ধরে। সরকারের বয়স্ক ভাতা পান না। রাতভর রিকশা চালিয়ে প্রতি মাসে খরচ বাদে আয় করেন চার হাজার টাকা থেকে চার হাজার ২০০ টাকা। তাঁর ছেলে নেই, শুধু দুটি মেয়েসন্তান। অভাব-অনটনের কারণে ভালো ঘরে বিয়ে দিতে পারেননি। প্রতি সপ্তাহে তাঁকেও রিকশার কিস্তি দিতে হয়।
সিদ্দিকুর রহমান জানান, জামাইদের খুশি রাখতে অনেক সময় মেয়েদেরকেও কিছু দিতে হয়। কিন্তু তাঁর এই সীমিত আয়ে নিজেই চলতে পারেন না, জামাইদের দেবেন কী! ফলে বেশ বিপাকেই আছেন সিদ্দিকুর।
পাবনা শহরের কাচারীপাড়া মহল্লার বাসিন্দা আক্কাস শেখ (৬১) রিকশা চালাচ্ছেন প্রায় ৩৬ বছর ধরে। তিনিও রাতের বেলায় রিকশা চালান। দিনে অন্যদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পারেন না বলে রাতে এই রিকশা চালনা। এ ছাড়া রাতে কম দূরত্বে বেশি ভাড়া মেলে বলেও জানালেন তিনি।
আক্কাস শেখের দুই ছেলে। বিবাহিত দুই ছেলেই অন্যের দোকানে কাজ করেন। এই আয়ে নিজেদেরই সংসার ঠিকমতো চলে না, বাবাকে কীভাবে দেখাশোনা করবেন। তাই এ বৃদ্ধ বয়সেও রাতে রিকশা চালাতে হয় তাঁকে।
আক্কাস শেখ জানান, রাতভর রিকশা চালিয়ে খরচ বাদে প্রতি মাসে তাঁর গড়ে আয় হয় চার হাজার ৩০০ টাকা থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা পর্যন্ত। আর এই সীমিত আয়ে জীবিকা নির্বাহ করতে মহাসংকটে আছেন তিনি।
শুধু আক্কাস, সিদ্দিকুর ও রফিকুল ইসলামই নন- তাঁদের মতো আরো অর্ধশত বৃদ্ধ রিকশাওয়ালা আছেন, যাঁরা অল্প উর্পাজনে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এরপরও রয়েছেন নানা সংকটে। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে অসহায়ত্ব আর নিভৃতে-নীরবে চোখের পানি ঝরানো যাদের চলার পথে একমাত্র ভরসা।
Subscribe to:
Posts (Atom)