Sunday, December 17, 2017

দিনে ২ হাজার শালিককে খাওয়ান তিনি

২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের কোনো এক সকালে নিজের দোকানের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন সমর কুমার ঘোষ। দেখলেন কয়েকটি শালিক খাবার খুঁজে বেড়াচ্ছে। এ সময় তাদেরকে তিনি চানাচুর খেতে দেন। পরদিন দেখেন একই সময় আরো অনেকগুলো শালিক এসে জড়ো হয়েছে খাবার খেতে। গত পাঁচ বছর যাবৎ রোজ সকালে দুই হাজার শালিক পাখিকে খাবার খাওয়াচ্ছেন পাবনার সমর কুমার ঘোষ। প্রতিদিন সকাল হলেই পাখিগুলো এসে ভিড় করতে শুরু করে সমরের মিষ্টির দোকানের সামনে।

সমর রোজ অনেক ভালোবাসা নিয়ে পাখিগুলোকে খাবার খাওয়ান। আর তা দেখতে তার 'শ্যামল মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের' সামনে এখন ভিড় করেন আশপাশ থেকে আসা অনেক মানুষ।
সমর বলেন, পাঁচ বছর আগে কয়েকটি শালিককে খাবার দেই। পরদিন খেয়াল করি একই সময় আরো অনেকগুলো পাখি এসে জড়ো হয়েছে। দিন দিন এ পাখির সংখ্যা বেড়ে দুই হাজারে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, পাখিগুলো প্রায় ১০-১৫ কিলোমিটার দূর থেকে উড়ে এসে আমার এখানে নাস্তা করে। তাদের খাবারের পেছনে আমার মাসে প্রায় ৪৫ হাজার টাকা খরচ হয়। কিন্তু এতগুলো পাখি যখন আমার চারপাশে ঘুরে বেড়ায় তখন একটা স্বর্গীয় অনুভূতি নিয়ে আমার দিন শুরু হয়।
পাখি দেখতে আসা আরমান হোসেন নামে একজন বলেন, আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে সাধারণত শালিক পাখি অনেক শব্দ করলেও সমরের দোকানের সামনে তারা কোনো শব্দই করে না। বরং শান্তভাবে খেয়ে আবার উড়ে যায়।
সমরের মত একজন মধ্যবিত্তের জন্য মাসে ৪৫ হাজার টাকা পাখির পেছনে খরচ করা বেশ কঠিন হলেও তিনি এটাকে ব্যাখ্যা করেন অন্য ভাবে। তার ভাষ্য, ‘আসলে আমি কিছুই করছি না। সবই সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা। তিনি চাইলে আমি আরো বেশি করে তার সৃষ্টির সেবা করার সক্ষমতা লাভ করব।’
সমরের এই অবদানের জন্য গত বছর বন বিভাগ তাকে দেশ সেরা 'পাখি প্রেমিক' উপাধি দিয়ে পুরস্কৃত করে।
সমর যখন শহরের বাইরে যান তখন তার ১১ বছর বয়সী ছেলে স্মরণ কুমার ঘোষ পাখিগুলোকে খাবার দেয়। ছেলেকে ভবিষ্যতেও এটা চালিয়ে যাওয়ার জন্যই বলেছেন সমর।
Read More

Saturday, December 2, 2017

পাবনাকে ধ্বংস করতে রূপপুর প্রকল্পই যথেষ্ট!


পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুরে এক হাজার ৬শ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) এ পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের রিয়াক্টর ভবনের প্রথম কংক্রিট ঢালাইয়ের মাধ্যমে মূল কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনটি চুক্তির আওতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কাজ করবে রাশিয়ান ফেডারেশনের এটমস্ট্রয় এক্সপোর্ট।
১৯৬১ সালে রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প গ্রহণ করেছিলো তৎকালীন আইয়ুব খানের সরকার। স্বাধীনতা পরবর্তী ১৯৭৩ ও ১০৮০ সালে ফের উদ্যোগ নিয়ে আর্থিক সংকটে ব্যর্থ হয়। পরবর্তী ২০০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাশিয়ার সঙ্গে এই প্রকল্প নিয়ে যোগাযোগ করে।
স্মারকলিপি, মানববন্ধন, পোস্টার-লিফলেট বিলি, মাইকিংসহ সব সমালোচনাকে ঊর্ধ্বে রেখে সরকার বলছে- এর মাধ্যমে বাংলাদেশ পারমাণবিক যুগে প্রবেশ করলো। পাশাপাশি মিটবে বিদ্যুৎ চাহিদাও। পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের যুগে প্রবেশের মধ্যে দিয়ে রূপপুরের আলোয় আলোকিত হবে দেশ। তবে বিশ্লেষকরা বলছে শুধু আলো নয় এর মাধ্যমে অন্ধকার নেমে অাসারও আশঙ্কা আছে।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে- পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ জাতির জন্য সম্মানের বিষয়। বাংলাদেশ ভূমিকম্প ঝুঁকিতে থাকলেও রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র রিখটার স্কেলে ১০ মাত্রার ভূমিকম্প সহ্য করার মতো করে তৈরি করা হচ্ছে। পরিবেশ ও মানুষের যাতে ক্ষতি না হয় তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
যেকোন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার কারণ তার ব্যবহৃত জ্বালানি বা বর্জ্য অপসারণ ব্যবস্থাপনা। এই প্রকল্পের পারমাণবিক বর্জ্য, আর্থিক ও স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি নিয়ে বিতর্ক আছে। বিতর্ক আছে অন্যান্য পন্থায় বিদ্যুৎ উৎপাদনের চেয়ে প্রায় চারগুণ বেশি ব্যয় করে এই পরমাণু বিদ্যুৎ স্থাপনার লাভ-ক্ষতি, মাত্রাতিরিক্ত পরিচালন ব্যয়, পরমাণু বর্জ্য অপসারণ, স্বাস্থ্য ঝুঁকিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও চরম হুমকিস্বরূপ। অতীত ইতিহাস ও বর্তমান দেখলে আমরা যে ভয়াবহ চিত্র পাই তাতে শুধু রূপপুর বা ঈশ্বরদী নয়, পাবনা জেলাকে ধ্বংসের জন্য এ ধরনের একটি প্রকল্পই যথেষ্ট।
জার্মানি, ইংল্যান্ডসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত কয়েকটি দেশ পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দিচ্ছে, বন্ধ করে দিয়েছে নতুন কেন্দ্র স্থাপন। রাশিয়ার চেরনোবিল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়ার থ্রি-মাইল আইল্যান্ড ও সাম্প্রতিক জাপানের ফুকুশিমাসহ বিভিন্ন সময়ে সংঘটিত পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুর্ঘটনা সাধারণ জনগণ ও বিশেষজ্ঞদের মধ্যে চরম ভয় ও উৎকণ্ঠার জন্ম দিয়েছে। যার ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চালু পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ ও নির্মাণ কাজ চলছে এমন কেন্দ্রও বন্ধ করার জন্য সেসব দেশের সাধারণ জনগণ আন্দোলন করছেন। এমনকি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও আন্দোলন চলছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকার পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পক্ষে কঠোর অবস্থান নিয়েছে।
১৯৫০–এর দশক থেকে ২০১০ পর্যন্ত হিসেবে দেখা গেছে যে, বেসামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত কমপক্ষে ২৮টি পারমাণবিক কেন্দ্রে দুর্ঘটনা ঘটেছে। রাশিয়ার (বর্তমান ইউক্রেনে) চেরনোবিলে পরমাণু স্থাপনায় দুর্ঘটনায় তাৎক্ষণিক ৩০ জন নিহত হয়। তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়লে অন্তত ৪ হাজার মানুষ মারা যায়। ঐ দুর্ঘটনার চারপাশের ১৮ দশমিক ৫ মাইল এলাকা বিচ্ছিন্ন অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। ২০১১ সালে জাপানের ফুকুশিমায় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় কয়েক শতাধিক মানুষ নিহত হয়। বিস্ফোরণে জাপান এখন তেজস্ক্রিয় বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। তাই স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে- যদি বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এমনটি ঘটে তাহলে দরিদ্র দেশ হিসেবে কতটুকু মোকাবেল করতে পারবে সেই বিপর্যয়ের।
Read More

Friday, October 27, 2017

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি যুদ্ধ


পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষে প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। শুক্রবা (২৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে, চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাস ছাড়াও শহরের আরো ১৪টি কেন্দ্রে ভর্তি চলছে পরীক্ষা। এ বছর প্রতি আসনের বিপরীতে লড়ছে ৪৫ জন শিক্ষার্থী।
৩টি ইউনিটের অধীনে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সি ইউনিট সকাল সাড়ে ৯ থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত, বি ইউনিট বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত, এ-১ ইউনিট বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা, এ-২ ইউনিট বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত।
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ছাড়াও পাবনা জেলা স্কুল, সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ইমাম গাযযালী স্কুল, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, শহীদ এম. মনসুর আলী কলেজ, টিচার্স ট্রেনিং কলেজ (টিটিসি), সরকারী মহিলা কলেজ, শহীদ ফজলুল হক পৌর উচ্চ বিদ্যালয়, গোপাল চন্দ্র ইনস্টিটিউট (জি সি ইনস্টিটিউট), সেন্ট্রাল গার্লস হাই স্কুল, পাবনা কলেজ, সিটি কলেজ, জাগির হোসেন একাডেমি, আদর্শ গার্লস হাইস্কুলসহ মোট ১৫টি কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
একটি আসনের জন্য ৪৫ জনকে ভর্তিযুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হয়েছে। ৯১০টি আসনের বিপরীতে আবেদনকারীর সংখ্যা ৪১ হাজার ৮১ জন। গত ৬ সেপ্টেম্বর থেকে অনলাইনে ভর্তির আবেদন শুরু হয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলে। ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষে ৫টি অনুষদের অধীনে ২১টি বিভাগে মোট ৯১০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
Read More

Tuesday, October 24, 2017

পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালককে ওএসডির প্রতিবাদে চিকিৎসকদের মানববন্ধন


পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাঃ মঞ্জুরা রহমানেরকে ওএসডির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে পাবনায় কর্মরত সকল চিকিৎসকরা। সোমবার দুপুরে হাসপাতাল চত্তরে চিকিৎসকদের সংগঠন বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) এই কর্মসূচীর আয়োজন করে। মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে ডাঃ মঞ্জুরা রহমানের ওএসডির আদেশ প্রত্যাহারে তিন দিনের আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে। ডিসির চিকিৎসা না দেয়ার অভিযোগ এনে সহকারী পরিচালকের ওএসডি করা হয়েছে বলে চিকিৎসকরা অভিযোগ করেছেন।
সোমবার দুপুরে পাবনা জেনারেল হাসপাতাল চত্বরে ঘন্টাব্যাপী চলা মানবন্ধনে হাসপাতালের সকল চিকিৎসক, নাসর্, কর্মকর্তা কর্মচারী ও ইন্টার্ন চিকিসক ও বে-সরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা নবিশ মেডিক্যাল সহকারীরা অংশ গ্রহন করেন।
মানববন্ধন শেষে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বিএমএ পাবনা জেলা শাখার সভাপতি ডাঃ মোঃ গোলজার হোসেন, পাবনা মেডিকেল কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক ডাঃ আহমদে তাউস, ডাঃ জাহেদী হাসান রুমী. ডাঃ মোঃ আশরাফ হোসেন, ডাঃ শহিদুল আলম, নার্সিং সুপার ভাইজার ডাঃ হোসনে আরা মিনু, জেলা স্বাস্থ্য উন্নয়ন কমিটির সদস্য একে এম হাসান হীরা, পাবনা ইন্টার্ন চিকিসক পরিষদের সভাপতি ডাঃ শাহা আলম শোভন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, অবৈধ এবং নিয়ম বহির্ভুতভাবে হাসপাতালের সহকারী পরিচালককে ওমসডি করে পাবনা থেকে অপসারণ করা হয়েছে। পাবনা জেলা প্রশাসক যে অভিযোগ এনেছেন সেটি সঠিক না। চিকিৎসা সেবা সকলের অধিকার এখানে সকলে সমান অধিকার পাবে। তাই সঠিক ভাবে তদন্ত করে নিয়ম মাফিক সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতি সুদৃষ্টি কামনা করেন। ডিসির চিকিৎসা না দেয়ার অভিযোগ এনে সহকারী পরিচালকের ওএসডি অবিলম্বে প্রত্যাহারের আহবান জানিয়ে তিন দিনের আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে। এসময়ের মধ্যে দাবী আদায় না হলে আগামী দিনে কঠর কর্মসূচী দেয়া হবে বলে তারা জানান।
Read More

Sunday, October 8, 2017

‘আজ রাতে অথবা কাল সকালে মেডিকেলের ফল’

‘আজ রাতে অথবা কাল সকালে মেডিকেলের ফল’


সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল জানতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন ৮২ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও তাদের স্বজনবন্ধুরা। তারা সকলেই বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজ-খবর নিয়ে জানতে চাইছেন বহুল আকাঙ্ক্ষিত ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল কখন প্রকাশিত হবে।
গত শুক্রবার (৬ অক্টোবর) রাজধানীসহ দেশের ২০টি সরকারি মেডিকেল কলেজের ৩৪টি কেন্দ্রে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রের তথ্যানুসারে আজ রাতে কিংবা আগামীকাল (সোমবার) সকালে ফলাফল প্রকাশিত বলে নিশ্চিত করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অধিদফতরের একজন কর্মকতা জানান, ইতোমধ্যেই ভর্তি পরীক্ষার সকল উত্তরপত্র উন্নত প্রযুক্তির আইসিআর (ইন্টিলিজেন্ট ক্যারেক্টার রিকগনিশন) মেশিনের সাহায্যে দুই-দুইবার পরীক্ষা-পুনঃপরীক্ষার কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. জাফর ইকবালের নেতৃত্বে একদল তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ দলের সার্বিক তত্ত্বাবধানে শেষ মুহূর্তের ভুলক্রুটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য মহাপরিচালকসহ বিশিষ্ট নাগরিকদের সমন্বয়ে গঠিত ওভারসাইট কমিটির সদস্যরা পালাক্রমে উপস্থিত থেকে ফলাফল প্রস্তুতি কার্যক্রম তদারকি করছেন।
সূত্র জানায়, চলতি বছর ভর্তি পরীক্ষায় কয়েকজন শিক্ষার্থী নের্ব্যক্তিক ১০০ নম্বরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৯০ নম্বরের বেশি নম্বর পেয়েছেন। সেই সঙ্গে নেগেটিভ নম্বর অর্থাৎ মাইনাস নম্বরও পেয়েছেন অনেক শিক্ষার্থী।
ফলাফল প্রকাশের ব্যাপারে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. আবদুর রশীদ বলেন, ‘ইতোমধ্যেই উত্তরপত্র স্ক্যানিং শেষ হয়েছে। আজ রাতে কিংবা আগামীকাল সকালে পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে পারব।’
Read More

Tuesday, September 19, 2017

পাবনায় জনপ্রিয় টিভি ম্যাগাজিন ‘ইত্যাদি’র শুটিং হবে মঙ্গলবার

এবার পাবনার হার্ডিঞ্জ ব্রিজের নিচে শুটিং হবে জনপ্রিয় টিভি ম্যাগাজিন ইত্যাদির।

ব্রিটিশদের নির্মীত ঐতিহ্যবাহী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ও লালন শাহ সেতুর মধ্যবর্তী স্থানকে এবার বেছে নেওয়া হয়েছে ইত্যাদির শুটিংয়ের জন্য।
আজ থেকেই পাবনার বিভিন্ন লোকেশনে জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির ভিডিওচিত্র ধারণ করা শুরু হয়েছে।
আগামিকাল (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টা থেকে বিশাল মঞ্চে এর ভিডিওচিত্র ধারণ কাজ শুরু হয়েছে ।
এবারের ইত্যাদিতে পাবনার ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন স্থানের ভিডিওচিত্র ধারণ করা হবে।
ইত্যাদির মূল পর্বের ভিডিওচিত্র ধারনের জন্য বিকাল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত অনুষ্ঠানের জন্য হাজারখানেক অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এ ছাড়াও আরও উৎসুক মানুষ আশপাশে ভিড় জমাবেন বলে মনে করছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা।
পরিস্থিতি সামাল দিতে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী তৎপর রয়েছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।
বরাবরের মতো এবারের ইত্যাদিতেও নানা-নাতি পর্ব থাকছে। থাকবেন পাবনার দেশ বরেণ্য নাট্যকার বৃন্দাবন দাস ও তাঁর স্ত্রী শাহনাজ খুশি। এ ছাড়াও চঞ্চল চৌধুরীকে দিয়ে একটি বিশেষ পর্ব তৈরি করবেন হানিফ সংকেত। সেই সুবাদে জনপ্রিয় এ তিন তারকাকে একসঙ্গে দেখা যাবে টিভির পর্দায়।
Read More

Tuesday, September 12, 2017

জনপ্রিয় টিভি ম্যাগাজিন ‘ইত্যাদি’ এবার পাবনায়!

বিনোদন ডেস্ক : জনপ্রিয় টিভি ম্যাগাজিন ‘ইত্যাদি’র এবারের আয়োজন করা হয়েছে পাবনা সদরে। 

বরাবরের মতো এবারও উপস্থাপনায় থাকবেন হানিফ সংকেত। উপস্থিত থাকবেন ছোট ও বড় পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। আরো থাকবেন নাট্যকার বৃন্দাবন দাস ও অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি।
প্রতি ঈদেই ইত্যাদির একটা বিশেষ পর্ব থাকে। কিন্তু উপস্থাপক হানিফ সংকেত হজ পালনে সৌদি আরব থাকায় এবার ঈদে ইত্যাদির কোনো আয়োজন নেই। তবে হানিফ সংকেত হজ থেকে ফিরলেই শুরু হবে ইত্যাদির কার্যক্রম। চঞ্চল চৌধুরী, বৃন্দাবন দাস ও শাহনাজ খুশিকে দিয়ে একটি বিশেষ পর্ব তৈরি করবেন তিনি। সেই সুবাদে জনপ্রিয় এ তিন তারকাকে একসঙ্গে দেখা যাবে টিভির পর্দায়। সাধারণত তিন মাস পরপর প্রচারিত হয় কৌতুক ও ব্যঙ্গাত্মক ঘরানার ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’।
Read More

Tuesday, August 22, 2017

এবার পাবনায় স্কুল ছাত্রীদের গণধর্ষনের ভিডিও ইন্টারনেটে !!


Read More

Sunday, August 20, 2017

ইছামতি পানিতে টলমল শহরবাসীর স্বপ্ন


 দু’কুলের প্রকৃতি ছুয়ে বয়ে যাচ্ছে ¯্রােতধারা। দুই পাশে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য কবি গুরু রবীন্দ্রনাথের বর্ণনায় উঠে আসা এ যেন সেই চিরচেনা ইছামতি। আহ্ ! সারা বছর যদি এমনটা থাকতো। নদীর পাশে দাঁড়িয়ে স্মৃতি চারণ করে কথাগুলো বলছিলেন শহরের বাসিন্দা জাকির হোসেন। বর্তমান শহরের পেটের ভিতর দিয়ে বয়ে চলা ইছামতি নদী পানিতে টলমল। নেই আবর্জনার স্তুপ। দক্ষিণ থেকে উত্তরদিকে মৃদু ¯্রােতের এ যেন এক অন্য ইছামতি নদী । দেখে মনে হয় শহর জুড়ে থাকা শান্ত একটি নদীর বয়ে চলা। গত কয়েকদিন ধরে বন্যার কারণে নদীতে পানি আসতে শুরু করে। এরপর থেকে নদীতে পানি বারতে থাকে।
কোন কোন জায়গায় রাস্তা প্রায় ছুই ছুই পানি। শুক্রবার শহরের গোবিন্দা এলাকার দেওয়ানবাড়ী জামে মসজিদ থেকে জুম্মার নামাজ শেষে মুসল্লিরা বের হয়ে নদীর দিকে তাকিয়ে থাকে। এ যেন তাদের সেই হারিয়ে যাওয়া ইছামতি। তারা স্মৃতিচারণ করে পুরোনো কথা তুলে ধরে বলেন, আজ থেকে ৪৫-৪৬ বছর আগেও এ নদীতে ঢেউ উঠতো। এক সময় নদীতে সাড়ি সাড়ি পানসি নৌকা চলতো। এক স্থান থেকে অন্য স্থানে মালামাল বহন করে নেয়া হতো। 
নৌকা বাইচ খেলা হতো। এ এলাকার অনেক নব বধূই এই ইছামতি নদী বয়ে প্রথম শশুরবাড়ীতে পদার্পন করেছেন। কেউ কেউ নদী নিয়ে তাদের বর্তমান শতশত পরিকল্পনার কথা আনন্দের সাথে তুলে ধরেন। কেউ বলছেন নদীতে নৌকা কিনে এনে চালাবেন, কেউ বলছেন মাছ ধরবেন, গোসল করবেন। তারা স্মৃতিচারণ করে বলেন এই নদী আমাদের প্রাণের স্পন্দনের সাথে মিশে আছে। নদীতে যেন এভাইে সারা বছর পানি টলমল করে। নদীর পানি দেখছেন উৎসুক শহরবাসী। 
প্রায় শহর জুড়ে চলছে আলোচনা। সবার প্রাণের চাওয়া দীর্ঘস্থায়ীভাবে যেন নদীতে আবার ফিরে আসে প্রাণ। পানিতে ভরা টলমলে নদীটি দেখে সবচেয়ে বেশী খুশি হয়েছে শিশুরা। তাদের কৌতুহল ভাবনা এ যেন এক নতুন ইছামতি। তাদের আনন্দের শেষ নেই। এই আনন্দ যেন ক্ষণিকের না হয় সেই স্বপ্ন দেখছেন আজ শহরবাসী। 
Read More

Saturday, August 19, 2017

মানবিক অনুষদ-সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ। অনার্স ১ম বর্ষে ভর্তির বিস্তারিত তথ্য।

সরকারি এডওয়ার্ড কলেজে 2017-18 শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ১ম বর্ষে কলা ও মানবিক অনুষদের বিষয় সমূহে ভর্তির জন্য নিম্নবর্তী শর্তসমূহ।

১। এসএসএসি ও এইচএসসি যে কোন শাখা থেকে উত্তীর্ণ হলেই হবে।
২। পাশের বছরঃ এসএসসি, সমমান ২০১৪-১৫ এবং এইচএসসি, সমমান ২০১৬-১৭ হতে হবে।
৩। উভয় পরীক্ষায় সর্বনিম্ন জিপিএ ২.০০ প্রাপ্ত হয়ে মোট জিপিএ ৪.০০ হতে হবে
৪। এসএসসি ও এইচএসসির জিপিএ অনুসারে মেধা স্কোর প্রণয়ননের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হবে।
৫। মানবিক অনুষদে বিষয় ভিত্তিক আলাদা যোগ্যতা প্রযোজ্য।
 মোট আসনের শতকরা হার অনুযায়ী ভর্তি করা হবেঃ

১। বাংলা ও ইংরেজি বিভাগ-
 মানবিক শাখা হতে ৯০% 
 বিজ্ঞান শাখা হতে ৫%
 ব্যবসায় শিক্ষা শাখা হতে ৫%

 ২। ইতিহাস,দর্শণ এবং ইসলামি ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ-

মানবিক হতে ১০০%                         

মানবিক অনুষদের বিষয় সমূহ এবং আসন সংখ্যা নিচে দেওয়া হলোঃ

সর্বমোট আসন সংখ্যাঃ ১১৯০

১। বাংলা বিভাগ- ২৩৫
২। ইংরেজি বিভাগ- ২৩৫
৩। ইতিহাস বিভাগ- ২৬০
৪। দর্শণ বিভাগ-২২০
৫। ইসলামি ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ- ২৪০




ভর্তি প্রক্রিয়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে।

প্রাথমিক ভাবে অনলাইনে আবেদন শুরুঃ ২৪/০৮/২০১৭ তারিখ হতে

আবেদন শেষ হবেঃ ২০/০৯/২০১৭ তারিখ।

আবেদন করতে ক্লিক করুনঃ Apply Online
Read More

Saturday, August 12, 2017

চোখের জলই ভরসা পাবনার বৃদ্ধ ‘নাইট রিকশাওয়ালাদের’


জীবনের যে সময়ে এসে পরিবার-পরিজন নিয়ে সুখে দিন অতিবাহিত করার কথা, নাতি-নাতনিসহ রাতের খাবার শেষে গল্পের ঝুড়ি নিয়ে বসার কথা- সেই সুন্দর মুহূর্তগুলো হারিয়ে গেছে পাবনার অনেক বৃদ্ধ রিকশাচালকের জীবন থেকে। এই বয়োবৃদ্ধদের অনেকেই কেবল রাতে রিকশা চালান।
রাতের বেলায় যাঁরা রিকশা চালান, সেই চালকরা পাবনা শহরে নাইট রিকশাওয়ালা নামে পরিচিত। যে রিকশা চালিয়ে এই বৃদ্ধ বয়সেও তাঁরা নিজেদের ভাগ্যের চাকা ঘোরাচ্ছেন সেটাও আবার নিজের নয়, চড়া সুদে কিস্তিতে কেনা।
প্রতিদিন ১৫০ টাকা হারে সপ্তাহে এক হাজার ৫০ টাকা জমা দিতে হয় রিকশার মহাজনকে। সেই সঙ্গে প্রতিদিন ব্যাটাজি চার্জ দিতে খরচ হয় আরো ৫০ টাকা।
ফলে যে টাকা রিকশা চালিয়ে আয় হয় তার সিংহভাগই চলে যায় কিস্তি পরিশোধ করতে। এ সীমিত টাকায় ওই নাইট রিকশাওয়ালাদের জীবনধারণ দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে।
এমনই একজন রিকশাওয়ালা পাবনা সদর উপজেলার আরিফপুর হাজিরহাট এলাকার শতবর্ষী রফিকুল ইসলাম। যিনি দীর্ঘ ৭০ বছর ধরে রিকশা চালাচ্ছেন। পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ছয় কাঠা জমি ছিল, যার তিন কাঠা মাদ্রাসা আর বাকি তিন কাঠা রাস্তার জায়গার জন্য ছেড়ে দিয়েছেন। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, দরিদ্র হলেও উদার মনের অধিকারী এই রিকশাচালক এই দানের বিনিময়ে কোনো অর্থ নেননি।
রফিকুল ইসলাম দুই ছেলে ও ছয় মেয়ের বাবা। বৃদ্ধ এই রিকশাচালক জানালেন, অর্থের অভাবে ছেলেদের পড়াশোনা করাতে পারেননি। ছেলেদের কেউই ভালো চাকরি পাননি। ছেলেরা যা আয় করে, তাতে তাঁদের নিজের স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সংসার চলে না।
ফলে একরকম বাধ্য হয়েই পাবনার রাধানগর এলাকার লেপু সিপাহী রোডে ছোট মেয়ের বাড়িতে থাকেন রফিকুল ইসলাম। সরকারি বয়স্কভাতা পান প্রতি তিন মাসে ৫০০ টাকা করে মোট এক হাজার ৫০০ টাকা। প্রতি মাসে রাতভর রিকশা চালিয়ে খরচ বাদে তাঁর গড়ে আয় হয় তিন হাজার ৭০০ টাকা থেকে চার হাজার টাকা পর্যন্ত।
এ টাকায় মাস কাটানো দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন রফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, বৃদ্ধ বয়সে রোগব্যাধি তো নিত্যসঙ্গী। এ সীমিত টাকায় ওষুধ কিনে জীবন চালানো কঠিন।
রফিকুল ইসলামের মতোই আরেক নাইট রিকশাওয়ালা সদর উপজেলার দোগাছী ইউনিয়নের আশুতোষপুর গ্রামের বাসিন্দা সিদ্দিকুর রহমান (৬৫)। তিনি রিকশা চালান ৪০ বছর ধরে। সরকারের বয়স্ক ভাতা পান না। রাতভর রিকশা চালিয়ে প্রতি মাসে খরচ বাদে আয় করেন চার হাজার টাকা থেকে চার হাজার ২০০ টাকা। তাঁর ছেলে নেই, শুধু দুটি মেয়েসন্তান। অভাব-অনটনের কারণে ভালো ঘরে বিয়ে দিতে পারেননি। প্রতি সপ্তাহে তাঁকেও রিকশার কিস্তি দিতে হয়।
সিদ্দিকুর রহমান জানান, জামাইদের খুশি রাখতে অনেক সময় মেয়েদেরকেও কিছু দিতে হয়। কিন্তু তাঁর এই সীমিত আয়ে নিজেই চলতে পারেন না, জামাইদের দেবেন কী! ফলে বেশ বিপাকেই আছেন সিদ্দিকুর।
পাবনা শহরের কাচারীপাড়া মহল্লার বাসিন্দা আক্কাস শেখ (৬১) রিকশা চালাচ্ছেন প্রায় ৩৬ বছর ধরে। তিনিও রাতের বেলায় রিকশা চালান। দিনে অন্যদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পারেন না বলে রাতে এই রিকশা চালনা। এ ছাড়া রাতে কম দূরত্বে বেশি ভাড়া মেলে বলেও জানালেন তিনি।
আক্কাস শেখের দুই ছেলে। বিবাহিত দুই ছেলেই অন্যের দোকানে কাজ করেন। এই আয়ে নিজেদেরই সংসার ঠিকমতো চলে না, বাবাকে কীভাবে দেখাশোনা করবেন। তাই এ বৃদ্ধ বয়সেও রাতে রিকশা চালাতে হয় তাঁকে।
আক্কাস শেখ জানান, রাতভর রিকশা চালিয়ে খরচ বাদে প্রতি মাসে তাঁর গড়ে আয় হয় চার হাজার ৩০০ টাকা থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা পর্যন্ত। আর এই সীমিত আয়ে জীবিকা নির্বাহ করতে মহাসংকটে আছেন তিনি।
শুধু আক্কাস, সিদ্দিকুর ও রফিকুল ইসলামই নন- তাঁদের মতো আরো অর্ধশত বৃদ্ধ রিকশাওয়ালা আছেন, যাঁরা অল্প উর্পাজনে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এরপরও রয়েছেন নানা সংকটে। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে অসহায়ত্ব আর নিভৃতে-নীরবে চোখের পানি ঝরানো যাদের চলার পথে একমাত্র ভরসা।
Read More

Tuesday, January 10, 2017

The Problem with the Words “I’m Sorry”



The Problem with the Words “I’m Sorry” – Saying sorry

Many would tell you these are the two most important words in relationship, and that saying sorry is very important. Some will tell you that you should use these words more, rather than less.
My response is: “really?”
I disagree. The words “I’m sorry” are relatively unimportant for the long-term, in your relationships. Many women use these words too much. Women also have this tendency to feel guilty too often; thus the use of the phrase “I’m sorry” (though this is not true for all).
I don’t think there is such a thing as using the words “I’m sorry” too little – I think rather, that there is such a thing as caring too little to make a change or to treat your partner better. 
Many women lash out and cut deep with their words, and then torture themselves with guilt. And then say sorry. And then lash out, and cup deep with their words, and then torture themselves with guilt. And then say sorry. And then lash out with their words, and then….
The pattern still exists. The same thing happens, continuously, over and over. You have to break the pattern, and develop alternative ways to deal with a problem, or even a new authentic temperament.
You’ll find a larger proportion of women than men in the feeling guilty clan. Men feel it too, yes. But they don’t generally live in this emotion as much as women.

Sorry as a cover up

The words I am sorry are often used as a cover-up. I’ve done it before, and I’ve seen others do it too – this is how I know. The words “I’m sorry” are often just that – just words. Words in themselves mean little without true resolve to change something, or to do better next time. (read my article about he misses you but…)
There was a time in my relationship where I had not treated my man fairly, and I was saying sorry – and in the middle of it, I had to stop myself. Later, I thought hard about it. I thought hard about the words and why I was really saying them.
I came to a conclusion that, throughout my life, in certain relationships, I had said I was sorry out of a need to re-gain the other person’s acceptance. And to desperately try and re-salvage lost connection. In other words, I was still coming from a wholly selfish place.
Do you know what I mean?
It’s like, I hurt the other person to start off with, and now I want to take even MORE from them by hoping that my apology will bring them closer to me?! This is fickle.

Sorry as a way of serving guilt

So, after stopping myself midway through the apology, I started to ask myself what would be a better way of doing things. I realised that, often, the words “I’m sorry” were helpful (depending on who the person is, and what they value), but never made the REAL difference in repairing something I’d done that was hurtful.
The real difference goes something like this: we mess up somehow; and act in a way that is less than authentic and less than acceptable. (Click here to take the quiz on “How High Value High Status Am I on Facebook?”)
And rather than hating yourself for it; rather than grieving, rather than indulging in guilt, the better thing to do would be to even say nothing at all, but to truly listen to the other person’s pain, and their experience. And just be with them. Whether it’s your man, your mom, your sister, your best friend, or your colleague.
Once I’ve done that, from a place of honesty and sincerity, as a true woman, it is a must to proceed to grow and to love greater. This means that repairing lost trust is purely YOUR responsibility – Up until a point where it’s clear that the other person isn’t interested in trusting you at all anymore. IF that even happens. Which is rare. In most cases, a person who is hurt just wants you to care more, and love them more. Even if they seem to be pushing you away. (read my article about how to solve a relationship problem)
Just to clarify for the purposes of this post, caring and/or ‘loving’ someone ‘more’ doesn’t have to mean that you suffocate them, but that you come from a place of authenticity and you place yourself wholly in their shoes, and listen and care – without question. No strings attached!!

Putting “I’m sorry” in to context…

That being said, for a small few, I believe that there are a number of people who say sorry authentically. And of course, it’s possible to say sorry purely out of 100% consideration, compassion and love for the other person.
I think that the words “I’m sorry” said in this way takes a high level of selflessness.

Childhood conditioning…

The problem for many is that as children, we had mommy or daddy take us by the hand, lead us up to little Johnny or Sarah, and force us to say “I’m sorry” when we broke their toy or called them a meanie. Even when we didn’t want to say sorry. Even when we didn’t mean it. Even when it wasn’t coming from the right place in our hearts.
And this is ingrained in to us over and over and over and over throughout our childhood until it became a natural and subconscious reaction to something. Sometimes, as a matter of etiquette, saying “sorry!” is fine.
For example, if you step on someone’s unsuspecting toes on a crowded bus, it’s only good to say “oh sorry!!!” Because you don’t know that person as well; you’re less likely to be in a long-term relationship with them, and it’s good manners to do so. Just to indicate some consideration towards them.
The words I’m sorry are not as important as our intentions, our resolve, and what we have to give. Some people just say they are sorry because they feel they have to.

What is more important than sorry?

Honestly, there are a number of things that are more important, and will have a greater effect and influence upon your relationship and life than using the “I’m sorry” phrase. I’ll list a few below:
– Working on yourself. Constantly striving to strip away your fears and masks so that you can present yourself with authenticity and character. When you do this, you’ll often say the words from a place of total authenticity, and they will MEAN more to the other person.
– A humble intent.
– Your actions in the long-term, after the thing you did or said that may or may not have caused hurt to the other person.
– True compassion.
Do you agree with my views?
Do you think saying sorry is important? What other words or actions could someone say to you or do that would have a greater and better impact? Has anyone ever apologized to you and it didn’t feel like it came from the right place? Perhaps you thought it didn’t help because they didn’t mean it?

Read More

3 Common Words That Make You Sound Unprofessional



3 Everyday Words That Make You Sound Pretty Rude in Emails

1. Actually

2. Sorry

3. Me

Read More

About us

Lorem Ipsum is simply dummy text of the printing and typesetting industry. Lorem Ipsum has been the industry's standard dummy text ever since the 1500s, when an unknown printer took a galley of type and scrambled it to make a type specimen book

Services

Drop Down MenusCSS Drop Down MenuPure CSS Dropdown Menu

More Services

© 2014 Pabna Guide. Template Designed by Bloggertheme9